বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ছাড়পত্র দেয়া রুগীকে পুনভর্তি না করার অভিযোগ:বিল আদায় ৮১ হাজার

বশির আল মামুন, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম নগরের ওআর নিজাম রোড সড়কস্থ বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালের বিরুদ্ধে ছাড়পত্র দেয়া এক রুগীকে এক দিনের ব্যবধানে পুনরায় ভর্তি না করানোর অভিযোগ উঠেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিলেন লোহাগাড়ার ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ (৫৫)। পাঁচদিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ। সে সময় রোগীর স্বজনরা নগদ ৮১ হাজার টাকা বিলও পরিশোধ করেন। কিন্তু একদিন পর ১৪ মে(বৃহস্পতিবার) আবারও রোগীর অবস্থার অবনতি হলে সেই রোগীকে ভর্তি নেয়নি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল।

এ ঘটনার পর নগরের আরও কয়েকটি হাসপাতালে চেষ্টা করা হলেও ফারুক আহমদকে ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের। ভুক্তভোগী ফারুক আহমদ রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) ইফতারের সময় তিনি হঠাৎই ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।

রোগীর স্বজন মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত ৭ তারিখ আমার মামা ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ওইদিন রাতেই নগরের বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার মামাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু একদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মামার অবস্থার আবারো অবনতি হলে পুনরায় মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে এলেও তাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’

মহিউদ্দিন বলেন, ‘অথচ একদিন আগেই আমরা মামার চিকিৎসাবাবদ মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ৮১ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু হাসপাতালটি কোনো কারণ ছাড়াই মামাকে ভর্তি নেয়নি। পরে মামাকে নিয়ে বেসরকারি রয়েল হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও মেট্রোপলিটন হাসপাতালের অজুহাত দেখিয়ে ভর্তি নেয়নি। এ কারণে গত প্রায় ২৬ ঘণ্টা ধরে চিকিৎসাহীন অবস্থায় আছেন মামা। পরে অনেক কষ্টে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু একজন রোগীর সঙ্গে মেট্রোপলিটন হাসপাতাল যা করল তার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের এজিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। আমি মূলত হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিষয়গুলো দেখাশোনা করি’।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION